ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫ , ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে-আলী রীয়াজ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বদলিতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন রাস্তায় অভিনেতাকে সিদ্দিককে গণপিটুনি কারিগরি শিক্ষার্থীরা যা শিখছেন, চাকরির বাজারে তার চাহিদা নেই -সিপিডি আগামী নির্বাচনে সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোটের প্রস্তুতি চলছে : সিইসি জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশকে উজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে গড়িমসি অপকর্ম বন্ধ করুন, নইলে বিএনপিকেও জনগণ ছুড়ে মারবে -নেতাকর্মীদের ফখরুল সভ্য হতে হলে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান বইপ্রেমী এক ডিসির গল্প গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোন ই-৮ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলেন ২৫ কর্মী পুলিশের জন্য ১৭২ কোটি টাকায় কেনা হবে ২০০ জিপ সামাজিক সুরক্ষায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাখ ২৪ হাজার উপকারভোগী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনে লিপ্ত থাকার অভিযোগ গ্যাস খাতে বছরে আর্থিক ক্ষতি বিলিয়ন ডলার নতুন লুকে নজর কাড়লেন ব্লেক লাইভলি
গবেষণা প্রতিবেদন

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স : ২৫ বছরে ২০ কোটি মৃত্যু

  • আপলোড সময় : ২১-০৯-২০২৪ ১২:৪৩:০৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০৯-২০২৪ ১২:৪৩:০৫ পূর্বাহ্ন
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স : ২৫ বছরে ২০ কোটি মৃত্যু
ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন জীবাণু প্রচলিত ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার কারণে আগামী ২৫ বছরে বিশ্বে প্রায় ৪ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে। এই অবস্থার কারণে পরোক্ষভাবে আরও ১৬ কোটি ৯০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার তিন জনবহুল দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশে ১ কোটি ১৮ লাখ মানুষ প্রাণ হারাতে পারে। গত সোমবার চিকিৎসাবিষয়ক প্রভাবশালী সাময়িকী ল্যানসেটের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
ল্যানসেটের গবেষণায় বলা হয়েছে, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের (এএমআর) কারণে এ শতাব্দীর মাঝামাঝি বিশ্বজুড়ে বছরে সরাসরি ১৯ লাখ ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হবে। ২০২১ সালে এ সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৪০ হাজার। এএমআর বিশ্বজুড়ে বছরে ৮২ লাখ মানুষের মৃত্যুতে কিছু না কিছু ভূমিকা রাখবে। আগে সংখ্যাটি ছিল ৪৭ লাখ ১০ হাজার। বিভিন্ন অসুখ সৃষ্টি করা জীবাণুগুলো (যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গি ও বিভিন্ন পরজীবী) প্রচলিত ওষুধগুলোকে রেজিস্ট বা প্রতিরোধ করা শিখে গেলে তাকে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বলা হয়। নতুন ধরনের এই রোগ প্রতিরোধী জীবাণুগুলোকে ইংরেজিতে অনেক সময় বলা হয় ‘সুপারবাগ’।
গবেষকেরা বলছেন, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন সুপারবাগের কারণে রোগের চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে পড়ছে। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধকে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন গবেষকেরা। নির্বিচার অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার এর একটি বড় কারণ।
ল্যানসেটের গবেষণায় বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের কারণে ১৯৯০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ১০ লাখ মানুষ মারা গেছে। সামনে এর হার আরও বাড়বে।
ল্যানসেটের সঙ্গে যৌথভাবে এই গবেষণা করেছে গ্লোবাল রিসার্চ অন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (জিআরএএম) প্রজেক্ট। গবেষণায় কিছু ইতিবাচক দিকও উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, শিশুদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধজনিত মৃত্যু
কমবে। গত ৩০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, নবজাতক ও শিশুদের জন্য টিকা এবং চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে এতে শিশুমৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। তবে ল্যানসেটের গবেষণা বলছে, সুপারবাগের কারণে শিশুদের মৃত্যু কমলেও চিকিৎসা জটিল হচ্ছে। কোনো সংক্রমণের কারণে শিশুদের চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত সুস্থ করে তোলা কষ্টসাধ্য হয়েছে।
উল্টো ঘটনা ঘটেছে বয়স্কদের ক্ষেত্রে। গবেষণা বলছে, এএমআরের কারণে ৭০ বছরের কোঠায় যাদের বয়স, তাদের মধ্যে মৃত্যু বেড়েছে ৮০ শতাংশ। একই কারণে বয়স্কদের যেকোনো চিকিৎসাসেবা দেয়াও কঠিন হয়েছে। বিগত তিন দশকের চিত্র তুলে ধরে গবেষণায় বলা হয়েছে, দিন দিন এই সুপারবাগের সক্ষমতা বেড়েছে।
এই গবেষণা প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যাট্রিকসের গবেষক ও ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণার সহলেখক মোহসেন নাগবি বলেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স যে বিশ্বস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় হুমকি, সেটাই উঠে এসেছে এই গবেষণায়। কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করলে এই হুমকি আরও বাড়বে।
উদ্যোগ গ্রহণ করলে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় যে পরিবর্তন আনা সম্ভব, সেই কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, নতুন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এবং কার্যকর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধের ব্যবহার করা গেলে ২০৫০ সাল নাগাদ ৯ কোটি ২০ লাখ মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যাবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ